কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভেতর এই ক্ষমতাটা কখনোই আসে না। সুপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন প্রথম পক্ষের লোক। তার লেখনী দিয়েই সবাইকে মুগ্ধতার স্বপ্নে বিভোর করে রাখেন বরাবরই।
মানুষটার সঙ্গে আমার দৃশ্যমান কোনো সখ্যতা নেই। ফেসবুকে তার লেখা পড়তে পড়তে গত বছর তিনেক ধরে একটা অদৃশ্য সম্পর্কের ভিত তৈরি হয়ে গেছে।
না, আমি দেশের বাইরে থাকাতে ‘আরশিনগর’, ‘অন্দরমহল’ ও ‘মানবজনম’—এই তিন উপন্যাসের একটিও তাৎক্ষণিকভাবে পড়তে পারিনি। ইন্টারনেট ও ফেসবুকের সুবাদে তার লেখা কবিতা, ছোট গল্পগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে, তার নান্দনিক লেখনী থেকে আমার পাঠক সত্তাকে বঞ্চিত করলে নিজের প্রতি একধরনের ঘোর অবিচার হবে। পরে বাংলাদেশ থেকে আনিয়ে তিনটি উপন্যাসই গোগ্রাসে গিলে মুখিয়ে থাকা আমার ভেতরের পাঠক সত্তাকে তার পাওনাটা সুদ–আসলে মিটিয়ে দিয়েছিলাম।
আসলেই দারুণ লেখেন তিনি! তার লেখায় এক ধরনের মাদকতা আছে। আছে শৈল্পিকতা। গৎবাধা গতানুগতিকতা থেকে বের হয়ে তিনি তার ঝরঝরে লেখায় শৈল্পিক ভঙ্গিতে তুলে নিয়ে এসেছেন রোমান্স, পারিবারিক মেলবন্ধন আর কখনো বা শুদ্ধ বন্ধুতা কিংবা স্বচ্ছ দেশপ্রেম।
0 Comment to "নিঃসঙ্গ নক্ষত্র"
Post a Comment